خطوة إلى عالم لا حدود له من القصص
4.6
أدب الجريمة
কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলাম সেদিন। প্রেসিডেন্সির দেওয়ালটা শেষ করে সবে কলুটোলায় বাঁক নিয়েছি, এমন সময় চেনা দোকানি বললে, ‘সত্যজিতের বই নেবেন নাকি? ফেলুদার?’ ‘আছে আমার কাছে,’ বলে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। দোকানি লোভ দেখাল। সব সই করা। সত্যজিতের। এবার চমকে গেলাম। লোকটা বলে কী? দড়ি দিয়ে বাঁধা গাঁটরি খুলতেই একের পর এক বাদশাহী আংটি, গ্যাংটকে গন্ডগোল, সোনার কেল্লা সমেত গোটা ফেলুদা সিরিজের ফার্স্ট এডিশন। ঝাঁ-চকচক করছে। একেবারে মিন্ট কন্ডিশন। প্রতিটাতেই প্রথম পাতায় জ্বলজ্বল করছে ইতি চেনা সেই সই। সত্যজিতের য-ফলাকে ইংরেজি এস অক্ষরের মতো স্টাইলাইজেশন। গাঁটরির ঠিক নীচেই এক কোনায় চোখে পড়ল খাতাটা। কাপড়ে বাঁধানো। অনেকটা এই ধরনের খাতা জি সি লাহা কিংবা অক্সফোর্ড বিক্রি করত এককালে। পাশে সোনার জলে ‘নোটস’ লেখা। ডায়েরি লিখতে ব্যবহার করতেন অনেকে... হাতে তুলে নাম দেখে মুচকি না হেসে পারলুম না। কাঁপা কাঁপা হাতে প্রথম পাতায় লেখা, শ্রীতপেশ রঞ্জন মিত্র, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২।
নামটা চেনা চেনা লাগায় পরের পাতা ওলটাতে বাধ্য হলাম। ওপরের দিকে গোটা গোটা হরফে লেখা— মিত্র বংশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও অন্যান্য
আর সেটা পড়তে গিয়েই হাই ভোল্টেজ স্পার্ক। এ কী দেখছি! এ যে রত্নখনি!! পাতায় পাতায় এমন সব কাহিনি যার কিছুটা জানা, আর অনেকটাই অজানা। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল মশাই। চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল। স্বপ্ন দেখছি না তো! দোকানদার বললেন দক্ষিণ কলকাতায় রজনী সেন রোডে কোন এক বাড়ির এক বুড়ো ভদ্রলোক সদ্য মারা গেছেন। তাঁর বাড়ির লাইব্রেরিতেই এসব বই পাওয়া গেছে। আর এই নোটবুক। বইগুলোর যা দাম চাইল কেনার সাধ্য ছিল না। নোটবইটা দরাদরি করে দেড়শোতে কিনে নিলাম। যা পেলাম, আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব। এতে আমার কৃতিত্ব কিচ্ছু নেই।
শুনুন কৌশিক মজুমদার-এর লেখা "তোপসের নোটবুক" অভিনেতা ঋতব্রত-র কণ্ঠে!
© 2021 Storyside IN (دفتر الصوت ): 9789354342127
تاريخ الإصدار
دفتر الصوت : 13 سبتمبر 2021
عربي
الإمارات العربية المتحدة